রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৫২ পূর্বাহ্ন

পীরগঞ্জে দু’মাস ধরে ৮পরিবার অবরুদ্ধ!

রিপোর্টারের নাম : / ৩৫ টাইম ভিউ :
আপডেটের সময় : রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৫২ পূর্বাহ্ন

পীরগঞ্জ (রংপুর) –
পীরগঞ্জে দু’মাস ধরে যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে দেয়ায় ৮টি পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। অবরুদ্ধ পরিবারের শিক্ষার্থীদের কর্দমাক্ত ফসলের ক্ষেতের আইল দিয়ে রাস্তায় উঠে দ্বিতীয়বার পোশাক পরিবর্তন করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে হচ্ছে। ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন বাড়ি থেকে ভারি কোন জিনিসপত্র বাহির কিংবা প্রবেশ করতেও পারছেন না। ফলে মানবেতর জীবন যাপন করছেন ভুক্তভোগী পরিবারগুলো। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চৈত্রকোল ইউনিয়নের সিবারপাড়া শাল্টি গ্রামে।
ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী জানায়, প্রায় ৪০ পূর্বে একই এলাকার কতিপয় ভূমিহীন পরিবার সরকারী খাস জমিতে বাড়ি-ঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছে। বংশানুক্রমে ওই সময় থেকেই তারা যাতায়াতের রাস্তা হিসেবে সরকারী খাস জমিসহ সামান্য মালিকানা জমির উপর দিয়ে কোন বাধা ছাড়াই চলাচল করতো।
সম্প্রতি সিবারপাড়া শাল্টি গ্রামের মৃত ইয়াসিন আলীর পুত্র সাবেক বিজিবি সদস্য নুর মোহাম্মদ ও তার সহোদর ভাই সোলায়মান, হারুন এবং ভাতিজা হাফিজুর ওই যাতায়াতের রাস্তার জমি নিজের দাবি করে স্থানীয়ভাবে চারপাশ ঘিরে ফেললে ৮ অসহায় পরিবারের লোকজন অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। অবরুদ্ধ পরিবারগুলো হলো- সহিদুল ইসলাম, সাজেদুল ইসলাম, মোসাদ্দেকুল, শাহারুল, রওশনারা, সাদ্দাম হোসেন, সাব্বির ও শামীম মিয়া।
ভুক্তভোগীরা জানায়, প্রভাবশালী সাবেক বিজিবি সদস্য নুর মোহাম্মদ ও তার সহোদরা আমাদের যাতায়াতের রাস্তায় শুধু বন্ধ করেনি, অনেক খাস জমিও দখল করে গাছ লাগিয়েছেন।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুজ্জামান জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে দুপক্ষকে নিয়ে একাধিকবার বসেও বিষয়টির সুরাহা হয়নি।
ভেন্ডাবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ওই ভুক্তভোগী পরিবারের মধ্যে চলমান এসএসসি পরীক্ষার্থীও রয়েছে। তাই সাময়িক যাতায়াতের জন্য লোহার দুটি গেট খুলে দেয়ার জন্য  অনুরোধ করলে সাবেক বিজিবি সদস্য সম্মত হন। তবে ভুক্তভোগীদের রিক্সা, ভ্যান পারাপারের সুযোগ নেই।
এ ব্যাপার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিরোদা রাণী রায় জানান, আমি বিষয়টি অবগত নই, এমনটা ঘটলে খোঁজ নিয়ে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *